আর্ট 01
পাঠক, কখনও কি মনে প্রশ্ন জেগেছে যে, ফাস্ট ফুডের দোকানগুলোর বেশিরভাগেরই লোগো কেন লাল বা কমলা রঙের হয়? কেন সুবিশাল নীল আকাশের দিকে তাকালেই মনটা শান্ত, স্থির হয়ে যায়? কেন আমরা ব্যস্ত শহুরে জীবনের ঝুট ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে ছুটে যাই সবুজ প্রকৃতির কোলে? হয়তো না। আসলে চারিদিকে হরেক রকমের রং দেখে আমরা এতটাই অভ্যস্ত যে, আমাদের কার্যকলাপ ও আচরণের উপর একেক রংয়ের যে একেক ধরনের প্রভাব আছে, তা আর সচেতনভাবে লক্ষ্য করা হয়ে ওঠে না।
অথচ প্রতিনিয়তই আমরা আমাদের পরিচ্ছদ ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশের রঙের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছি। তাই একেকটি রং আমাদের শরীর ও মনের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে, তা জানাতেই আজকের এই আয়োজন। এর পাশাপাশি এসব প্রভাব বিবেচনায় রেখে কীভাবে পোশাকের রং এবং ঘরের রং নির্বাচন করা যায়, তাও তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে।
লাল
লাল রং সাধারণত প্রণয়, ভালোবাসা, স্নেহময়তা, শক্তি, উত্তেজনা, সতেজতা এবং তীব্র আবেগ নির্দেশ করে।
এটি শরীরের অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি এবং স্নায়ুকোষকে উদ্দীপ্ত করে। হৃদস্পন্দন ও শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি বৃদ্ধি করে। শরীরের ফাইট অর ফ্লাইট রেসপন্সকে সক্রিয় করে তুলতে পারে। এ রংটি পুরুষত্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
লাল রঙের শক্তিদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে হাঁটা বা ব্যায়ামের সময়ে পরার জন্য এ রং উপযোগী। কারো মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্যেও লাল একটি আদর্শ রং। গবেষণায় দেখা গেছে, লাল রংয়ের পোশাক পরিহিত নারীদের প্রতি পুরুষরা বেশি অনুরক্ত অনুভব করেন। তবে এই রঙের তীব্রতার কারণে আপোস, মীমাংসা বা মতবিরোধ জাতীয় আলোচনার সময় লাল রং এড়িয়ে যেতে পারলেই ভালো। এই রঙের পোশাকে শারীরিক গড়ন ভারী দেখাতে পারে।